বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় তাঁর কিশোর সিরিজ ‘অদ্ভুতুড়ে’–তে অসংখ্য স্মরণীয় গল্প লিখেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো ‘ঝিকরগাছায় ঝঞ্ঝাট’, যেখানে কাহিনির মূল আবহ তৈরি হয়েছে যশোর জেলার ঐতিহাসিক ঝিকরগাছা হাটকে ঘিরে।
ঝিকরগাছার হাট: কলকাতার বাইরের বিখ্যাত বাণিজ্যকেন্দ্র
গত শতাব্দীর প্রথম ভাগ থেকেই ঝিকরগাছার হাট ছিল এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান বাজার। এখানে পাওয়া যেত নানারকম পণ্য, আর জমত ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভিড়। কলকাতার বাইরের জনপ্রিয় এই বাণিজ্যকেন্দ্রের সুনাম পৌঁছে যায় সাহিত্যের পাতাতেও। তাই অনেক সাহিত্যিকের লেখায় এর উল্লেখ পাওয়া যায়।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ও তাঁর ‘ঝিকরগাছায় ঝঞ্ঝাট’ বইতে হাটকে কেন্দ্র করেই রচনা করেছেন এক দুর্দান্ত কিশোর উপন্যাস।
বইয়ের শুরুতেই হাটের রূপচিত্র
বইয়ের প্রথমেই শীর্ষেন্দু লিখেছেন—
“ঝিকরগাছার হাট হল এ-তল্লাটের সেরা। একধারে গ্যাঁড়াপোতার খাল আর অন্য ধারে মহীনরাজার ঢিবি, মাঝখানে বিশাল চত্বর জুড়ে রমরম করছে হাটখানা। এখানে না পাওয়া যায় এমন জিনিস কমই আছে। পরগনার সব ব্যাপারিই এসে জোটে। তেমনই খরিদ্দারের ভিড়। যেমন বিকি, তেমনি কিনি। সকাল থেকে রাত অবধি কত টাকাপয়সা যে হাতবদল হয় তার লেখাজোখা নেই।”
এই বর্ণনায় জীবন্ত হয়ে ওঠে ঝিকরগাছার হাটের প্রাণচাঞ্চল্য।
শুধু হাট নয়, গল্পে আছে রাজা, রাজ্য আর জাদুর বাক্স
গল্পের শুরুটা হাট ও তার অদ্ভুতুড়ে মানুষদের নিয়ে হলেও কাহিনি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে রাজা-রাজ্য, হারানো রাজপুত্র, রহস্যময় জাদুর বাক্সের মতো নানা উপাদানে। ফলে পাঠককে টেনে নেয় এক ভিন্ন জগতে।
গল্পের ভেতর থেকে এক ঝলক
“ঝিকরগাছার হাটে এলে রামগোপাল ময়রার দোকানে ছানাবড়া আর রাবড়ি তার বাঁধা। কিন্তু আজ বাক্সটা কিনতে গিয়ে পয়সা সব বেরিয়ে যাওয়ায় সেসব আর খাওয়া হবে না। সে গুটিগুটি তেলেভাজার দোকানের দিকে এগোতে লাগল। ঠিক এই সময়ে ভারী অমায়িক চেহারার গোলগাল একজন লোক তার সামনে ফস করে উদয় হয়ে হাসি হাসি মুখ করে বলল, ‘আরে! মুখখানা যে বড় চেনা চেনা লাগছে!’”
আরও পড়তে ইচ্ছে করছে? তাহলে আর দেরি নয়—নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করুন ‘ঝিকরগাছায় ঝঞ্ঝাট’।

